প্রকাশিত: Sun, Jan 8, 2023 4:58 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 12:15 AM

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ কানপুরে ৬ দিনে ১শ’ মানুষের মৃত্যু

রাশিদুল ইসলাম: ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক দিন ধরেই কমছে তাপমাত্রা। কুয়াশার দাপট চলছে নয়াদিল্লিসহ উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানে। কুয়াশার কারণে দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। 

দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল গত শনিবার। রোববারও দিল্লির তাপমাত্রা নেমে যায় ১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের বেশির ভাগ জায়গা থেকেও কম। হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে ঘন কুয়াশার মধ্যে বাতাসের গুণমানও অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লিতে। ভারতের রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ৩৫৯।

ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লিসহ কয়েকটি রাজ্যে এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে। এ ছাড়া কাশ্মীরে তুষারপাত চলছে। কুয়াশারা কারণে নয়াদিল্লি থেকে উড়োজাহাজ ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েক দিনই এমন পরিস্থিতি চলছে। রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ভারত থেকে কোনোও উড়োজাহাজ ছাড়েনি। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ২০টি উড়োজাহাজ দেরিতে ছেড়েছে। কুয়াশার কারণে ৪২টি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে।

এদিকে উত্তর প্রদেশে শীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ জন এবং ব্রেন অ্যাটাকে ১৭ জন মারা গেছেন। কানপুরে পারদ একটানা ৫ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। এ কারণে কানপুরে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দ্রুত বেড়েছে। শুক্রবার ৭৮ জন হৃদরোগী জরুরী বিভাগে কার্ডিওলজি (এলপিএস ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স) এবং ৫৪৭ জন রোগী ওপিডিতে এসেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কার্ডিওলজিতে ৪৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এলপিএস ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজির ডিরেক্টর ডা. বিনয় কৃষ্ণ বলেন, সাধারণ দিনে যদি হার্টের শিরায় ৩০ শতাংশ ব্লকেজ থাকে, তবে ঠান্ডায় শিরাগুলো সঙ্কুচিত হওয়ার কারণে একই ব্লকেজ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন অ্যাটাকের জন্য আসা রোগীদের রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল। এর সঙ্গে যারা ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারের পুরনো রোগী, তাদের জন্য বিপদ বেশি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব